চিয়া সিড, স্বাস্থ্যের সেরা বন্ধু


চিয়া সিড অনেকের কাছে পরিচিত হলেও চিয়া সিড কি, চিয়া সিড এর উপকারিতা ও চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। যার ফলে চিয়া সিডের অসাধারণ সব উপকারিতা থেকে আমরা নিজেদের বঞ্চিত করছি।

চিয়া সিড খুবই পুষ্টিকর খাবার। চিয়া সিডে রয়েছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম।

অন্যদিকে কমলা লেবুর থেকেও ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি। পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন। এবং কলার চেয়ে ২ গুন বেশি পটাশিয়াম। মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন ও স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩।
 
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিডকে আলাদা করে রান্না করা লাগে না, বরং এটি কিছু নির্দিষ্ট খাবারের সাথে যেমন; ওটস, পুডিং, জুস, স্মুদি ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খেয়ে নেয়া যায়। এছাড়াও কেউ চাইলে টকদই, সেরেয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। চিয়া সিড পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। খাওয়ার আগে তাদের ভিজিয়ে রাখা উচিত।

গবেষকদের দাবি, চিয়া সিড হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। চিয়া সিড রক্তের চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া চিয়া সিড শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে সাহায্য করে। গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে।

প্রতিটি খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি বিপরীত অপকারিতাও থাকে। যদিও এটি স্বাস্থ্যকর বলে আমরা জানি কিন্তু কিছু লোকের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অনেকের হজম সংক্রান্ত সমস্যা বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। 

অন্যান্য শারীরিক জটিলতা যেমন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ যারা নিয়ে থাকেন, তারা অতিরিক্ত মাত্রায় চিয়া সিড খেলে দেহে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। যা বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী ও আকস্মিক শারীরিক জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ