বিশ্বের প্রথম শিশু হিসেবে দ্বিতীয়বার জন্ম নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি!


যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এক অবিশ্বাস্য চিকিৎসা সাফল্যের সাক্ষী হলো বিশ্ব। লুইসভিলের শিশু লিনলি হোপ বোয়েমার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে— সে পৃথিবীতে এসেছে দুবার!

লিনলির মা মার্গারেট হকিন্স বোয়েমার যখন ১৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা, তখন চিকিৎসকরা জানান, অনাগত কন্যা একটি বিরল টিউমার সাক্রোকক্সিজিয়াল টেরাটোমা নিয়ে বেড়ে উঠছে। মেরুদণ্ডের গোড়ায় বিকশিত এই টিউমার শিশুটির শরীর থেকে রক্ত ​​শোষণ করছিল, যার ফলে তার হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

জটিল এই পরিস্থিতিতে, টেক্সাস চিলড্রেনস ফিটাল সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যতিক্রমী এক সিদ্ধান্ত নেন। ২৩ সপ্তাহের মাথায় তারা শিশুটিকে জরায়ু থেকে বের করে এনে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। অস্ত্রোপচারের সময় লিনলির ওজন ছিল মাত্র ১ পাউন্ড ৩ আউন্স। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার হৃদস্পন্দন থেমে গেলে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে জীবন ফিরিয়ে আনেন। এরপর তাকে পুনরায় মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়, যেখানে সে আরও ১২ সপ্তাহ বেড়ে ওঠে।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে লিনলি পুনরায় পৃথিবীতে আসে, তখন তার ওজন ছিল ৫ পাউন্ড ৫ আউন্স। জন্মের মাত্র আট দিন পর আরেকটি অস্ত্রোপচার করা হয় অবশিষ্ট টিউমার অপসারণের জন্য।

বর্তমানে লিনলি পুরোপুরি সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর সাফল্যের প্রতীক হয়ে সে দেখিয়ে দিল, আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ