ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠকের পর কিয়েভে গোয়েন্দা সহায়তাও বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বুধবার (৫ মার্চ) এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আনেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) কংগ্রেসে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প জানান, তিনি জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। এতে জেলেনস্কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ফক্স বিজনেস্কের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, শান্তি চাওয়া নিয়ে জেলেনস্কির দেওয়া চিঠিকে সাধুবাদ জানানোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেন সিআইএ পরিচালক। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি সমর্থনের বিষয়ে জোর দেন। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি আবার শুরু হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
জন র্যাটক্লিফ বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একটি বিবৃতি দিয়েছেন যাতে বলা হয়েছে, 'আমি শান্তির জন্য প্রস্তুত এবং আমি চাই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্ব সেই শান্তি চাই।' আমি মনে করি, আমরা ইউক্রেনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। কারণ, আমাদের সেখানে বিদ্যমান আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে হবে, শান্তি আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বকে আরও ভালো জায়গায় নিতে হবে।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইতিমধ্যেই কিছু গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নজরদারি এবং গোয়েন্দা বিমান, যা বিমান প্রতিরক্ষাসহ আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক উভয় অভিযানকেই প্রভাবিত করতে পারে - এমন তথ্যগুলো। কারণ, ইউক্রেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভরশীল।
সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় এবং মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করছেন।
এর আগে গত সোমবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে মার্কিন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা আমাদের সহায়তা স্থগিত করে পর্যালোচনা করছি যাতে নিশ্চিত করা যায়, এটি একটি সমাধানে অবদান রাখছে। প্রেসিডেন্টের বার্তা একদম স্পষ্ট, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
0 মন্তব্যসমূহ