জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ পাচ্ছেন আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এর মধ্যে পপসম্রাট আজম খান আছেন বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র থেকে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আজম খানের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পপসম্রাট আজম খান।
তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। আজম খান ১৯৫৫ সালে প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সাল থেকে তিনি পরিবারের সঙ্গে কমলাপুরে থাকা শুরু করেন এবং আমৃত্যু সেখানেই ছিলেন।
১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় আজম খান ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
১৯৭০ সালে তিনি টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান।
১৯৭৪ সালে বিটিভিতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ শিরোনামের গানটি গেয়ে আলোচনায় আসেন আজম খান। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম ক্যাসেট ‘এক যুগ’।
ডিস্কো রেকর্ডিংয়ের প্রযোজনায় তার গাওয়া গানের প্রথম সিডি বের হয় ১৯৯৯ সালের ৩ মে।
আরো পড়ুন
আজম খানের গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘আমি যারে চাইরে’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘আসি আসি বলে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’ ইত্যাদি।
গানের পাশাপাশি ১৯৮৬ সালে ‘কালা বাউল’ নামে হিরামন সিরিজের নাটকে অভিনয় করেছিলেন আজম খান। ২০০৩ সালে শাহীন-সুমন পরিচালিত ‘গডফাদার’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আজম খান। ২০১০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান আজম খান।
২০১৯ সালে আজম খানকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। এবার তিনি পেতে যাচ্ছেন স্বাধীনতা পদক।
0 মন্তব্যসমূহ