ইফতারে তরমুজ খেলে কী উপকার



রমজান মাসে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর অনেকে অনেকভাবে নিজেকে হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করেন। ইফতারে কেউ বিভিন্ন পানীয়, কেউ বা বিভিন্ন ফল খেয়ে থাকেন। ইফতারের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করার একটি আনন্দদায়ক উপায় হলো তরমুজের সতেজ স্বাদ যুক্ত করা। এই রসালো ফল কেবল আপনাকে স্বাদই দেবে না বরং অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও দেবে।

যে কারণে ইফতারের অন্যতম অংশ হতে পারে এই তরমুজ।

তরমুজের মতো রসালো ফলের এক টুকরো দিয়ে ইফতার ভাঙার প্রক্রিয়া আপনার খাবারে পানি, প্রাকৃতিক মিষ্টতা ও গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যোগ করে। এ ছাড়া আরো কী উপকার রয়েছে এই ফলে, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
 
পানি বৃদ্ধি

উচ্চ পরিমাণে জলীয় উপাদানের কারণে তরমুজ রোজার দিনে হারিয়ে যাওয়া তরল পদার্থ পূরণ করতে সাহায্য করে, পানিশূন্যতা রোধ করে এবং আপনাকে সতেজ রাখে। রোজা রেখে সারা দিন পানাহার বন্ধ রাখতে হয়।

যে কারণে দিনশেষে স্বাভাবিকভাবেই পানির কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়। ইফতারে তরমুজ খেলে সেই ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা যায়।

প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট

তরমুজে পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা সঠিক তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পেশির কার্যকারিতায় সহায়তা করে। তাই ইফতারে তরমুজ রাখা অত্যন্ত উপকারী।




ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ তরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা রমজানে সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। তাই রোজায় সুস্থতার জন্য প্রতিদিনের ইফতারে যোগ করুন এই রসালো ফল। এতে নানা অসুখ থেকে দূরে থাকাও সহজ হবে।

হজমে সহায়ক

রোজার সময়ে অনেকের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারণ ইফতার বা সাহরিতে অনেকেই না বুঝে ভুলভাল খাবার খেয়ে ফেলেন।

এই সমস্যা সমাধানেও কাজ করতে পারে তরমুজ। তরমুজে থাকা ফাইবার উপাদান হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া রোজার পরে যেকোনো অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যালরি কম

ক্যালরি গ্রহণ সম্পর্কে যারা সচেতন, তাদের জন্য তরমুজ একটি চমৎকার খাবার। ওজন বৃদ্ধির ভয় ছাড়াই এই মিষ্টি খাবার উপভোগ করা যায়। তাই কৃত্রিম মিষ্টির বদলে ইফতারের আয়োজনে তরমুজ রাখুন নিয়মিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ