নতুন বছরের প্রথম দিনই টেস্টের পক্ষে সওয়াল করলেন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী। পাঁচ দিনের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য আইসিসিকে পরামর্শ দিয়েছেন শাস্ত্রী। উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন টেস্টের রেকর্ড দর্শক সংখ্যাকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে টেস্ট দলগুলোকে দুটি স্তরে ভাগ করার কথাও বলেছেন তিনি ভারতের এ সাবেক কোচ।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্ট নতুন রেকর্ড গড়েছে। পাঁচ দিনে মেলবোর্নে খেলা দেখেছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯১ জন। শাস্ত্রী বলেন, টেস্ট ক্রিকেট যে এখনো জনপ্রিয়, তার অন্যতম প্রমাণ মেলবোর্নের এ দর্শক সংখ্যা। তিনি বলেন, প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো দর্শক সংখ্যার রেকর্ড ভেঙে গেছে। এতেই প্রমাণ হয়, সেরা দলগুলো মুখোমুখি হলে ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো এবং কঠিন ফরম্যাট প্রাসঙ্গিক থাকবে। এতে ক্রিকেটও সমৃদ্ধ হয়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে, টেস্টে ক্রিকেটকে বেঁচে থাকতে হলে সেরা দলগুলোকে সেরা খেলাটা খেলতে হবে, না হলে আগ্রহ নষ্ট হতে পারে।
টেস্ট দলগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, সূচি তৈরির সময় প্রথম সারির দলগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত আইসিসির। সমমানের দলগুলোর মধ্যে খেলা হলে আগ্রহ বজায় রাখা যাবে। অসমমানের দলগুলোর মধ্যে বেশি খেলা হলে আগ্রহ হারাতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাতে খেলার মান বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রথম ছয়টি বা আটটি দলকে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরির কথা বলেছেন শাস্ত্রী। পরের দলগুলো থাকুক অন্য গ্রুপে। তিনি চান পারফরম্যান্সের নিরিখে অবনমন এবং উত্তরণের ব্যবস্থা থাক।
শাস্ত্রী বলেন, দুটি সমমানের দল না খেললে এত লোক মাঠে আসবে না। দ্বিস্তরীয় ব্যবস্থা তৈরি না করলে অসম দলগুলোর মধ্যে খেলা হতেই থাকবে। অনেক ম্যাচই পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়াবে না। তার পর বলা হতে পারে, টেস্ট ম্যাচ চার দিনের করে দেওয়া হোক। অথচ মেলবোর্নে দেখা গেছে টেস্টের পঞ্চম দিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
টেস্টের লড়াই আকর্ষণীয় করতেই দলগুলোকে দুটি স্তরে ভাগ করে সূচি তৈরি করা উচিত বলে মনে করেন শাস্ত্রী। তাতে অধিকাংশ ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড টেস্ট দেখতে এসেছিলেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন। এবারের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্ট সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে— ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯১ জন।
0 মন্তব্যসমূহ