তিস্তার পানি সমস্যা একটি মানবিক সমস্যা। এর সমাধান হলে কেবল পানি সমস্যার সমাধানই যে হবে তা নয়, এটি দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিশ্বাস, আস্থা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির সহায়ক হবে। তিস্তার পানি সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত ও গভীরতর করতে পারে। এ সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র যেমন বন্যানিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ নানাবিধ পারস্পরিক উপকারী প্রকল্প গ্রহণে সহায়ক হতে পারে।
জনগণের চাহিদা বৃদ্ধি এবং বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দেশেই পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান পানি ব্যবস্থাপনা এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। এর ফলে পানির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
পানি সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য তিস্তা নদীর পানির যৌথ ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন প্রয়োজন। তিস্তা নদী হিমালয় পর্বতের হিমবাহ (গ্লেসিয়ার) থেকে উৎপত্তি হলেও তিস্তার পানির মূল উৎস বৃষ্টিপাত। পানির সামান্য অংশ আসে সিকিমের বিভিন্ন হিমবাহ থেকে। অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হয় বর্ষা মৌসুমে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ বাড়াতে হলে তিস্তার উজানে সিকিমে জলাধার নির্মাণ করতে হবে।
এভাবে বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রেখে তা শুষ্ক মৌসুমে দুই দেশের সম্মতিতে ও পারস্পরিক লাভজনক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা প্রয়োজন। সেই জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা, বোঝাপড়া এবং পানিসম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য সমন্বিত ব্যাপক পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিস্তা পানি চুক্তি এই ‘মহাপরিকল্পনা’র ভিত্তি স্থাপনে সহায়ক হতে পারে। তাই আন্তর্জাতিক পানি–সম্পর্কিত নীতিমালা অনুসরণ করে ভারত এবং বাংলাদেশকে তিস্তা পানি চুক্তি সম্পাদনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Teesta Treaty, India-China relations, India-Bangladesh water sharing, Teesta water dispute, China uneasy, India Teesta agreement, Teesta River issue, Bangladesh India China, international water politics, Teesta treaty news
তিস্তা চুক্তি, ভারত চীন সম্পর্ক, বাংলাদেশ ভারত পানি ভাগাভাগি, তিস্তা নদীর সমস্যা, তিস্তা চুক্তি খবর, চীন অস্বস্তি, আন্তর্জাতিক পানি রাজনীতি, তিস্তা নদী বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি, তিস্তা পানি বণ্টন
0 মন্তব্যসমূহ