নেটিজেনদের তোপের মুখে সাদিয়া আয়মান



বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না উঠতি অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের। কিছুদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদকর্মীর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। মাস না যেতেই ফের বিতর্কে পড়লেন সাদিয়া আয়মান। এবার তিনি আলোচনায় একটি ফেসবুক লাইভের জন্য!

সোমবার রাতে সাদিয়া আয়মান তার পেজ থেকে লাইভে এসে কান্না করতে করতে জানান, তার সঙ্গে অলৌকিক কিছু ঘটছে। তিনি অনুভব করেন কালো একটি ছায়া তাকে অনুসরণ করছে। ১০ মিনিটের ওই লাইভে তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হওয়ার ভান করেন!

সেই লাইভ দেখে অনেকে ভেবেছিলেন, সত্যি সত্যি সাদিয়া আয়মানের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে! সাদিয়ার কান্নাকাটি ও কথাবার্তা শুনে ভয় পেয়ে অনেকে তাকে নানাভাবে পরামর্শ দিতে থাকেন, কেউ কেউ তাকে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সাহায্য নিতে বলেন। সবাই যখন অভিনেত্রীর সঙ্গে কী হচ্ছে ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন- বিধিবাম, পরে জানা যায়, এটি তার নতুন একটি কন্টেন্ট-এর প্রচারণা কৌশল!

আর এটা জানাজানি হওয়ার পর রীতিমত তোপের মুখে সাদিয়া। নেটিজনদের ঠকিয়ে মিথ্যে প্রচারণায় অংশ নেয়ায় দর্শকরা তার প্রতি এতটাই ক্ষেপেছেন যে, সাদিয়া আয়মান ফেসবুক থেকে আপাতত বিদায় নিয়েছেন!

যা দেখে সবাই বুঝতে পারেন, মূলত এর প্রচারের জন্যই এমন ‘লাইভ নাটক’ করেছেন সাদিয়া। এতে বিরক্ত হয়েছেন তার অনুসারীদের অনেকে। এরপর থেকে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে সাদিয়া আয়মানের এমন মানহীন প্রচারণার জন্য ছিঃ ছিঃ করা শুরু করেন। কেউ কেউ সাদিয়া আয়মানকে বয়কটের ডাক দেন। আবার কেউ লিখছেন, সাদিয়া আয়মানের কমনসেন্সের অভাব বলেই হয়তো তিনি এমন কাণ্ড করেছেন।

মোহাম্মদ হানিফ নামে একজন লিখেছেন, লাইভ দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম সিরিয়াসলি ‘প্যারানরমাল’ কিছু হচ্ছে। কিন্তু পরে যখন জানলাম এটি ছিল মার্কেটিং তখন মনে হয়েছে সে আমাদের মানসিক হ্যারেজমেন্ট করেছে। এজন্য দর্শক হিসেবে আজ থেকে তার কাজ বয়কট করলাম।

শেখ ফজলু লিখেছেন, ছোট বেলায় একটি গল্প পড়েছিলাম বাঘ আর রাখাল ছেলের। সাদিয়া আয়মান তেমনই করলো। যদি সে কখনো সত্যিই বিপদে পড়ে তখন মানুষ বিশ্বাস করবে না। তাই তার এমন প্রচারণা করা উচিত হয়নি। জাহিদ ইসলাম লিখেছেন, দর্শকদের ঠকানোর জন্য সাদিয়া আয়মানকে ধিক্কার জানাই।

রমিজ উদ্দিন লিখেছেন, শুধু সাদিয়া আয়মান নয়, যারা তাকে দিয়ে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রচার-প্রচারণা করিয়েছেন তাদেরও ধিক্কার জানাই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ