এক পতিতার খপ্পরে পড়ে শিকার অনেক ব্যবসায়ী


বরিশালের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ব্যাপকভাবে চলছে দেহ ব্যবসা। এ সব এলাকার বিভিন্ন ফ্ল্যাটে মদ ও জুয়ার আসরও বসে প্রতিদিন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন স্থানে অভিযান হওয়ায় অনেক রাতের রানি বরিশালের বিভিন্ন মহল্লায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জমজমাট দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ফ্ল্যাট সাবলেট নিয়েও ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া অনেকে খদ্দেরের সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারন করে চালায় দিনের পর দিন পতারনা।

তেমনই একজনের নাম রিমা মধু ছদ্দ্য নাম আদুরী। পেশায় সে একজন পতিতা। বরিশাল শহর ছাছাও আশে পাশে সে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। জানা গেছে, রিমা মধুর পিতার নাম কমলেশ মধু,মাতা মিনতী মধু, গ্রাম সাচিয়া, পোঃ পেনাখালী, ইউনিয়ন মালিখালী, উপজেলা, নাজিরপুর, জেলা পিরোজপুর, বিভাগ বরিশাল।

আদুরীর কাছে যেসব কাস্টমাররা আসে, সে তাদের মোবাইল নাম্বার কালেকশন করে, পরবর্তিতে ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করে প্রেমের ফাদে ফেলে। একপর্যায় দেখা করার কথা বলে গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। যেখানে নিয়ে গিয়ে একান্তে সময় কাটায়। সময় কাটানো অন্তরঙ্গ মুহূর্ত গুলা ভিডিও ধারণ করে রাখে। তারপরে ওই ভিডিও দিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

যদি কেউ টাকা দিতে না চায়, তখন তাদেরকে হুমকি দেয় হয়। বলা হয়, যদি ভালো চাষ তাহলে টাকা দে। যদি টাকা না দিস, তাহলে এই ভিডিও তোর ফ্যামিলির কাছে পাঠিয়ে দিব। একই সাথে ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দিবো বলে ভয় ভৃতি দেখানো হয়। ,

সরজমিনে সেন্স বাংলায় ভুক্তভোগী একজন এসে জানান যে, ভাই আমার কাছ থেকে এই রিমি, ওরফে সিন্ডিকেট আদুরী প্রেমের অভিনয় করে, তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তখন ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞেস করলে কিভাবে টাকা গুলো যে আপনার কাছ থেকে নিয়েছে, তখন সেই ভুক্তভোগী জানায়, সে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার দশ হাজার টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা নেয়। আর এক লক্ষ টাকা বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে নেয়। যার রেকর্ড ফাইল গুলো সে আমাদের দেখায়।

সে বলে, আমি দেশে জমি কিনবো, আমাকে এক লক্ষ টাকা হাওলাদ দিতে হবে। তখন আমি  অনেক কষ্টে বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা যোগার করে তাকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেই। কিন্তু সে আমার টাকা নিয়ে এখন আমাকেই পল্টি। আমি টাকা চাইলে আমাকে বলে, আমি তোর টাকা দিব না। তুই যদি বেশি বাড়াবাড়ি করস তাহলে তোর ফ্যামিলির কাছে তোর ছবি ও ভিডিও পাঠায় দিমু, আর বলে দিব তুই আমার সাথে খারাপ কাজ করছস।

যখন সার জমিনে ,তখন আমরা  তাকে বলছি আপনি আইনের আশ্রয় নেন না কেন, তখন সেই ভুক্তভোগী বলেন, ভাই আদরীর সিন্ডিকেট অনেক বড় সিন্ডিকেট, সে সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলে, তার জন্য আপনাদের কাছে আসলাম, তখন আমরা বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে আমরা আপনার প্রতিবেদন করিতেছি, আপনি আমাদের প্রতিবেদন নিয়ে, আইনের ব্যবস্থা নিবেন, যদি পুলিশ আপনার কথা না শোনে, তখন আমাদেরকে জানাবেন, আমরা নিজেরা আপনার জন্য, আদুরী সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা নিব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ