লালন মেলায় গাঁজা খাওয়া বেশ সাধারণ ব্যাপার।লালনের আখড়া এলাকায় স্মরণোৎসবের এই সময়টায় এখন গাঁজার গন্ধ ছাড়া এতটুকু জায়গা পাওয়া দুস্কর। তবে এখানে গাঁজা বিক্রি হয়
না, ভক্তদের ছোট ছোট আসরে বসে খেয়ে যেতে হয়।
সিলেট শাহজালালের উরুসেও এইরকম গাঁজাখোরদের অবাধ গঞ্জিকা সেবন উৎসব চলে, সাধনার নামে এরকম নানা আকাম এইসব ভণ্ডরা চালিয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এরা সকলেই লাল কাপড় ব্যবহার করেন। বড় দাড়ি, অনেকের জটা চুল, ময়লা শরীর, গলায় পাথর ঝোলানো, বড় মালা ইত্যাদি।
হাতে থাকে লাঠি বা এমন কিছু, যেটা দৈব শক্তি প্রকাশ করে।
সিলেটের এক প্রসিদ্ধ আলেম বলতেন চুলে জটা লাগিয়ে যদি পীর হওয়া যেত তাহলে ভেড়াই হত সবচেয়ে বড় পীর। বাংলাদেশের প্রচলিত তথাকথিত সুফিজমের নামে চালু ভণ্ডামি কোনভাবেই ইসলামের সাথে সম্পর্কিত নয়, এদের নানা আচার দেখলেও এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
তাদের সাধু ভক্তি ও কবর পুজা অনেকটা পুরোহিততন্ত্র ও পৌত্তলিকতার মতই।
ইসলামের এসবের কোন স্থানই নেই, তারপরও তারা এদেশে কিছু লোকের ভক্তি অর্জন করে নেয়।
আর মিডিয়াও হাইলাইট করে, আসলে এর সাথে বাংলাদেশে ডি-ইসলামাইজেশনের একটা সম্পর্ক আছে, ডি-ইসলামাইজেশনের অর্থ, ইসলাম থেকে মুসলমানদের দূরে সরানো। যেহেতু মুসলিমদের মধ্যে ধর্মান্তরিত হওয়ার হার খুব কম তাই সেটি হয় দুই ভাবে।
এক, মুসলিমদের মধ্যে নাস্তিক্যবাদ ছড়ানো। দুই, ইসলামকে বিকৃত করে উপস্থাপন। দুই নম্বরটি বাংলাদেশে সেকুলারদের কাছে এইসব ভণ্ডদের সমাদর পাওয়ার আসল কারন। যদিও তারা ননস্টপ গাজা খায় এমনকি তাদের বেশিরভাগ রীতি নীতি আধুনিক চিন্তা চেতনার বিপরীত, কিন্তু এসব নিয়ে আপনি কোন নাস্তিক বা মুক্তমনাকে প্রশ্ন তুলতে দেখবেন না।
কারন এরাই যতই অপরিচ্ছন্ন হোক, তাদের যতই আগোছালো অযৌক্তিক সাধনারীতি থাকুক, চুশিলদের কাছে এরা মহান। ডি- ইসলামাইজেশনের অন্যতম বড়
অস্ত্র।
0 মন্তব্যসমূহ