১৬ জন স্ত্রী! ১৫১ বাচ্চার সত্যিকারের বাবা!
প্রথম দুটি বাক্য পড়ার পরে মুখ যদি আপনার হাঁ হয়ে গিয়ে থাকে, আপনার চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে মুখ বন্ধ করে নিন। কারণ আপনি যা পড়ছেন, তা এক্কেবারে সত্যি ঘটনা। এমনকি ১৬টি বিয়ে করার পরে তিনি বর্তমানে ১৭তম বিয়েটি করার জন্য প্রস্তুত সেই ১৫১ বাচ্চার বাবা ব্যক্তি। দুনিয়া তোলপাড় হয়ে যাওয়া ঘটনাটি জিম্বাবোয়ের হারারের। সেখানেই ১৬ জন স্ত্রী এবং ১৫১ জন সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার ৬৬ বছরের ব্যক্তি মিশেক ন্যান্দোরোর (Misheck Nyandoro)। ষাটোর্ধর মিশেক একজন অবসরপ্রাপ্ত যোদ্ধা (retired war veteran), দেশের হয়ে লড়াই করেছিলেন নিজের যৌবনকালে।
Daily Mail-র রিপোর্ট অনুযায়ী, মিশেক ন্যান্দোরো বর্তমানে কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি জানিয়েছেন, “আমার স্ত্রীদের সম্পূর্ণভাবে যৌনসুখ দেওয়া এবং তাঁদের দেখভাল করাই আমার একমাত্র কাজ।” মিশেক বাড়িতে রান্না করেন, ঘর পরিস্কার করেন এবং স্ত্রীদের ইচ্ছেপূরণ করেন। তবে মাত্র ১৬ জন স্ত্রীকে নিয়েই সংসার করতে চান না প্রাক্তন এই যোদ্ধা। তাই আগামী শীতেই ১৭ তম বারে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য সমস্ত ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। মিশেকের একমাত্র বাসনা, তিনি ১০০ স্ত্রীর স্বামী এবং ১০০০ সন্তানের বাবা হবেন।
মিশেকের ‘বহুবিবাহ’-র শুরু ৩৮ বছর আগে। Zimbabwean news outlet The Herald-কে তিনি জানিয়েছেন, “১৯৮৩ সালে প্রথমবার বিয়ে করি। তখনই ভেবেছিলাম আমৃত্যু বিয়ে করব এবং সন্তানের জন্ম দেব।” একইসঙ্গে তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ যৌন জীবনযাপনের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, “আমার রুটিন ভাগ করা রয়েছে। প্রতি রাতে চারজন করে স্ত্রীর সঙ্গে সংসর্গে লিপ্ত হই। এতেই আমার সংসার বাড়ে। আমি আমার সময়মতো স্ত্রীদের ঘরে পৌঁছে যাই। তারপর একে একে চারজনের সঙ্গে সময় কাটাই। তবে সকলের সঙ্গে আমার সঙ্গমের ধরণ এক নয়। বয়স অনুযায়ী ঠিক করি কার সঙ্গে কতক্ষণ এবং কীভাবে সঙ্গম করব। কারণ তাঁদের যথাযথ সুখ দেওয়াই আমার একমাত্র কাজ।”
এখানেই শেষ হয়নি মিশেকের কথা। তিনি বলেন, “আমি একজনের পরে যখন অন্য বিয়ে করি, সবসময় খেয়াল রাখি যেন তাঁর বয়স আগের স্ত্রীর তুলনায় কম হয়। কারণ বয়স কম হলে যৌনতায় তৃপ্তি আসে।” এতজন স্ত্রী রয়েছেন তাঁরা কি সকলেই সুখী? মিশেক জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীরা সকলেই খুশি। তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই আমার বিরুদ্ধে। ১৬ স্ত্রীর মধ্যে দু’জন আবার বর্তমানে অন্তঃস্বত্বা। এত বড় সংসারে আর্থিক অনটন হয় না? মিশেক জানিয়েছেন, অর্থ কষ্ট একেবারেই নেই, উলটে ছেলেমেয়েরা তাঁকে সকলেই ভীষন আগলে রাখে। আমাকে উপহার দেয়, টাকাও। স্ত্রীরা তাঁর জন্য পছন্দের রান্না করেন। এ ভাবেই তাঁর দিন কেটে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ